নীলাঞ্জনের পদ্য
ছোটরা ভেজে না আর
বাড়িতে এখন থাকা বেশ মুশকিল
ছোটরা ভেজে না আর
বাড়িতে এখন থাকা বেশ মুশকিল
আমরা এখন বড় ইস্কুলে পড়ি ।
সদর রাস্তা - কথাটা সকলে বোঝে
হুস-হাস সব পেরিয়ে যাবেই গাড়ি
তবুও বলব, আমাদের হাত ধরে
রাস্তাটা পার করে দেওয়া বাড়াবাড়ি ।
প্যান্টের ভাঁজে সুরকির ধুলো এলে
বাড়িময় ঠিক শুরু হয়ে যাবে যা তা
বেরোনোর আগে বলে দেওয়া হবে রোজ :
ফুল সোয়েটার, গোটানো যাবেনা হাতা ।
ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টিতে ছাতে গিয়ে
মন হল যদি একটুকু দাঁড়াবাড়,
একতলা থেকে তিনতলা কোঁপে ওঠে—
এখন বিকেলে ছোটরা ভিজোনা আর ।ছোটবেলা
কোপাই নদীর জলে জমে থাকা হলদে রঙের নুড়ি
ভোরের বাতাসে আমাদের সাথে একরাশ শাদা ঘুড়ি ।
পথের দুধারে পাতায় পাতায় সোনাঝুরি দিশেহারা
রাঙামাটি মনে রেখেছ কি বুকে জমায়েত হত কারা !
ভুবনডাঙার মাঠ ধরে সোজা দূরে সরে যেতে যেতে
পড়ে থাকো রোদ ? এখনও বিকেলে পশ্চিমে ধানক্ষেতে ?
সেই একদল ছোট ছোট মুখ খুব মিলেমিশে থাকা
জঙ্গল থেকে শিস দিয়ে দিয়ে কোকিলের মতো ডাকা,
এখনও হয়ত ভরা রোদ্দুরে তিনপাহাড়ের কাছে
বুড়ো গাছটার তৃতীয় কোটরে আমলকি রাখা আছে,
দিনে-রাত্তিরে ঢাকা পড়ে যায় আমাদের কথাগুলো
খাতার মলাটে একি কোত্থেকে পুরনো দিনের ধূলো !
No comments:
Post a Comment