একটা রহস্যময় কবিতা
সরসিজ সেনগুপ্ত
মনের ভেতর একটা ভীষণ
লুকিয়েছিল হল্লাহাওয়ায়,
‘পাইনি তো টের’
বলতে খুকি মুচকি হাসে
যাদের ও খুব ভালবাসে
তাদের কাছে কি যেন চায় !
সেই চাওয়াটা হাওয়ায় ভাসা
প্রজাপতি
যায়না পাওয়া অনেক পাওয়ায় ।
সত্যি যদি প্রজাপতি
হোক না আলো, হোক না রঙীন
ক্ষতি তো নেই হলে সেটা
খুশির ছোঁওয়ায় ঝলমলে ?
‘তা হবে না, তা হবে না
হতেই হবে শান্ত নিবিড়
হতেই হবে ছায়ায় মোড়া
লুকিয়ে পড়া একটু খানি
বনের কোলে।’
কি অদ্ভূত ! শুনিনি তো সাতজন্মেও
এমন কোন বায়না কারো,
যে চেয়েছে সেই বলেছে ,
‘আরো, আরো এবং আরো’ ।
এই মেয়েটা রা কাড়ে না,
কোন কথার ধার ধারে না,
পদ্ম পাতায় পিছলে গিয়ে
হাত বাড়িয়ে ঘুমকে ডাকে
জেগে থাকার একটু আগে ।
আমরা যখন খেলার ঝোঁকে
ওড়াই ফানুস বাঁচার নেশায়
ছোট্ট মেয়ে সাঁতার কাটে
ঢেউ ভাঙা চোখ
জলকে শেখায় ।
কি যে শেখায়, কেন শেখায়
পাইনি খুজে কোনই মানে,
ও টানে জল ?
নাকি ওকে জলই টানে ?
একটি মাছ বললো এসে
“ঐ মেয়েটা জলকে চেনে
জলের দেশের গল্প জানে। ”
গল্প জানিস ?
বলতো দেখি একটা আমায়
হাউ মাউ খাউ কুড়িয়ে পাওয়া
দুপুর বেলায় রূপকথা তোর্ ,
কিসের ব্যাথা ? নটের পাতা
এত কিসের দুঃখ রে ওর ?
ঐ দ্যাখ না ঘিয়ের পিদিম
ছাতের কোণায় একলা জ্বলে
গা ছম ছম অন্ধকারেও
বন্ধুরা সব কথা বলে।
দুত্তেরি ছাই , ভাল্লাগেনা।
কাজে আমার মন লাগে না,
একলা মন পালিয়ে চলে,
রাজপুত্তুর এখন কোথায়
একটু আমায় বলতে পারো ?
এই মেয়েটা, এমন কেন ?
কেন রে তুই এমনি তরো ?
পাখির পাখায় ভর করেও,
হাত ছানি দেয় ‘আমায় ধরো।'
মেয়েটা বুঝি ডানপিটে খুব ?
দুরন্ত ওর বাঁচতে চাওয়া?
তাও কি আবার হয় নাকি ধ্যাত ।
মেয়েটা যে খুব, ছোট্ট, সরল
জলের মতই দস্যি তরল ,
পাওয়ার মানে ও যে জানে
বন্য মুখে স্কুল পালিয়ে
মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়া !
অনেক ভাল লাগল গল্পটা পরে ।আপনার চমৎকার পোস্ট এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। । আশা করি এইরকম পোস্ট আর পাব। সময় থাকলে আমার এই best online shopping sites
ReplyDeleteসাইটে ঘুরে আস্তে পারেন।